রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী মোবারক

তারাদের এইরূপ আচরণের অর্থ নিজে অবগত হইতে পারিয়াও হযরত সুরেশ্বরী (রহঃ) স্বীয় মুর্শিদ পাকের নিকট আরজ করিলে তিনি বলিলেন, “এ তো খুশির সংবাদ।” পরক্ষণে তাঁহার চেহারায় মলিনতার ছাপ লক্ষ্য করা গেল।

তখন হযরত সুরেশ্বরী (রহঃ) পুনঃ আরজ পেশ করিলেন, “বাবা! আপনি বলিলেন খুশির সংবাদ অথচ আপনার চেহারা মোবারক মলিন কেন?” তিনি বলিলেন, এটা তাঁহার ওফাতের পূর্বাভাস। তাঁহাকে সঙ্গে পাওয়ার আনন্দে আল্লাহর ফেরেস্তাগণ ও তারকা মন্ডলী আনন্দে আত্মহারা হইয়াছে।

হযরত বাবা ওয়াইসী পীর ক্বেবলার (রহঃ) আদেশে তাঁহার জাহেরান অবস্থায় হযরত সুরেশ্বরী (রহঃ) দরবারে আউলিয়া সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফে তাঁহার পবিত্র মাজার শরীফ নির্মাণ করিয়াছিলেন। কারণ হযরত সুরেশ্বরী (রহঃ) নিজ মুর্শিদ ক্বেবলার ওফাতের আলামত জানিতে পারিয়া রোদনরত অবস্থায় নিজ পীর মুর্শিদের নিকট বলিলেন, বাবা! আপনার পর্দা গ্রহণ করিবার পর আমি কেমনে থাকিব। তখন হযরত ওয়াইসী পীর (রহঃ) তাঁহার নিজের জন্য সুরেশ্বর দরবার শরীফে মাজার শরীফ নির্মাণের আদেশ প্রদান করেন। নিজ পীর মুর্শিদ ক্বেবলার জীবদ্দশায় হযরত সুরেশ্বরী (রহঃ) সুরেশ্বরী দরবার শরীফে মাজার শরীফ নির্মাণ করিয়াছিলেন।

Additional information