রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী মোবারক

রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) নিজ আয়ের এক-তৃতীয়াংশ সংসার পরিচালনার জন্যে ব্যয় করিতেন। বাকি টাকা অসহায় নিরন্ন, দরিদ্র মানুষের কল্যাণে ব্যয় করিতেন। তিনি খুব সামান্য আহার করিতেন শুধু জীবন রক্ষার নিমিত্তে যতটুকু প্রয়োজন। রসনা বিলাসের নিমিত্তে কখনো আহার করিতেন না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নয়নমণি হযরত ইমাম হাসান (রহঃ) ও হযরত ইমাম হোসাইন (রহঃ) এর কথা স্মরণ করিয়া তিনি কখনো তিন চুমুকের অধিক পানি পান করিতেন না। কারবালার কথা স্মরণ করিয়া তিনি আহাজারি ও রোদন করিতেন।

হযরত ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) এর ওফাতের দুই মাস পূর্বেই তাঁহার অন্যতম প্রিয় মুরিদ ও খলিফা হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ আহম্মদ আলী সুরেশ্বরী (রহঃ) ২০ শে আশ্বিন কাশ্ফে দেখিতে পাইলেন যে, সমস্ত আকাশে লক্ষ লক্ষ তারকা আনন্দে মুখরিত। এ সম্পর্কে হযরত সুরেশ্বরী স্বরচিত ‘ছফিনায়ে ছফর’ কিতাবে লিখিয়াছেন-

মনে আসে আশ্বিন মাসে জুড়িয়া আকাশ।
লক্ষ লক্ষ তারাগণ ছোটে পাশাপাশ॥

ঝাকে ঝাকে তারাগণ ছুটিয়া বেড়ায়।
একদিক হতে তারা আর দিকে যায়॥

আগত হইতে নিশি লাগাত প্রভাত।
দিকে দিকে তারা খেলা ছিল সারা রাত॥

ঘর বার আমাদের ছিল আগমন।
ছিল না মনের শান্তি শরীরে বসন॥

হুতাসে মনের শান্তি নাশিতে কেবল।
নিশি ভর ছিনু সবে যেমন পাগল॥

অশান্তি হইল মম ধৈর্য অনুকুল।
শান্তশীল ছিল মন হইল আকুল॥

তারপরে শীঘ্র গতি কলকাতা নগর।
সেবিবারে পীর পদ মন কলেবর॥

এ বিরসে ধৈর্য সহ্য রহিল না আর।
মনে আশা জিজ্ঞাসিব নিকটে পিতার॥

Additional information