রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী মোবারক

অতি শৈশব হইতেই হযরত ওয়াইসী হুজুর (রহঃ) সর্বদা সহাস্য বদনে থাকিতেন। নীরবে একাকী যেন কোন অদৃশ্য বন্ধুকে নিয়া আপন মনে খেলা করিতেন। আজানের সময় নীরব হইয়া হাত-পা নাড়া-চাড়া বন্ধ করিয়া আজানের সুমধুর ধ্বনি শ্রবণ করিতেন। রমজানের দিবাভাগে দুধ বা অন্য কিছু পান করিতেন না। কোন আহার করিতেন না। তাহাতে সকলেই বুঝিতে পারিলেন যে, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনিও রোজা পালন করিতেছেন। শৈশবে তিনি কখনো উলঙ্গ হইতে চাহিতেন না। যখন তখন মলমূত্র ত্যাগ করিয়া মায়ের পরিধানের কাপড় ও বিছানা অপবিত্র করিতেন না। জন্মলগ্ন হইতেই তাঁহার সুষমামন্ডিত সুনিয়ন্ত্রিত ও রীতিসিদ্ধ আচরণে সকলে অত্যন্ত মোহিত ছিলেন।

রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) কৈশরে পদার্পণ করার পূর্বে তাঁহার বীর পিতা তাঁহাদেরকে আল্লাহর হেফাজতে রাখিয়া বালাকোট শিখ সমরে যোগদান করিয়া ধর্ম যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন। এর কিছু দিন পরেই তিনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সহিত আধ্যাত্মিক সিদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের অরণ্যে গমন করেন। আল্লাহ পাকের ধ্যানে তাঁহার দিন অতিবাহিত করিতে থাকেন। ক্ষুধা পাইলে গাছের পাতা বা ফলমূল খাইতেন এবং তৃষ্ণা নিবারণে ঝর্ণার স্বচ্ছ সুপেয় পানি পান করিতেন। কখনো কখনো তাঁহাদের জন্য আসিতো স্বর্গের খাদ্য পানীয় ভরা খানচা।

রাসূলেনোমা আল্লামা হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) গৃহে প্রত্যাবর্তনের কয়েক মাস পরে তাঁহার মাতা তাঁহাকে নিয়া মক্কা শরীফে হিজরত করার মানসে চট্টগ্রাম হইতে কলিকাতা অভিমুখে জলপথে যাত্রা করেন। কিন্তু অতি মর্মন্তদ যে, কলিকাতার অনতি দূরে হুগলী নদীর মোহনার নিকটবর্তী এলাকায় জাহাজ ডুবি হইয়া তাঁহার মাতা পরলোক গমন করেন। আল্লাহ পাকের অসীম রহমতে হযরত খাজা খিজির (আঃ) আসিয়া হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহঃ) কে উদ্ধার করিয়া হুগলী নদীর মোহনার তীরবর্তী লোকালয়ে রাখিয়া যান।

Additional information