হযরত ওয়াইসীর (রহঃ) পুত্র গোলাম মুস্তাফা

ওয়াইসী ক্বেবলা কা’বা র (রহঃ) পুত্র গোলাম মুস্তাফা

হযরত শাহ্ সূফী সাইয়েদ ফতেহ্ আলী ওয়াইসী ক্বিবলা কা’বার (রহঃ) প্রথম পুত্রের নাম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী গোলাম মোস্তফা সাহেব। তিনি আরবী ও উর্দ্দু ব্যতীত ইংরেজীতে কথা বলতে বা লিখতে পারতেন সাবলীল ভাবে। ইংরেজী সাহিত তাঁহার বুৎপত্তি ছিল অসাধারণ। পিতা হযরত শাহ্ সূফী ফতেহ্ আলী ওয়াইসী (রহঃ) যখন ‘পলিটিক্যাল পেনশন’ অফিস থেকে অবসর গ্রহন করেন তখন সেই পদ অলঙ্কৃত করেন পুত্র হযরত মাওলানা গোলাম মোস্তফা সাহেব। তিনি ‘মুসলিম ক্রুনিক্যাল বুলেটিন’ এ নানা প্রবন্ধ রচনা লিখতেন ইংরেজীতে। মুর্শিদাবাদ জেলার পুনাশীতে তিনি পরলোক গমন করেন। তাঁহাকে পুনাশীর (দিঘীর পাড়ে) সমাধিস্থ করা হয়। তবে জঙ্গল দিয়ে গায়বী ভাবে ঢেকে রেখেছেন তাঁহার বা তাঁহার মায়ের কবরটা।

হযরত গোলাম মোস্তফা সাহেবের প্রথম পুত্র হলেন হযরত সাইয়েদ মসুদুর রহমান (রহঃ)। ‘ক্যালকাটা মুসলিম ব্যুরিয়াল বোর্ড’ এ চাকরি করতেন তিনি। মুর্শিদাবাদের পুনাশি (পিতামহ হযরত সূফী ফতেহ্ আলী ওয়াইসী ক্বিবলা কা’বার গৃহ) গ্রামে তাঁহার বাসস্থান ছিল। হযরত মোস্তফা আলীর দ্বিতীয় সন্তান অর্থাৎ কনিষ্ঠ পুত্রের নাম আলহাজ্ব সাইয়েদ জানে আলম (রহঃ)। তিনি কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকে ফার্সীতে এম.এ করেন এবং এল.এল.বি করেন। তিনি বাংলাদেশের ঢাকা হাইকোর্টের এ্যাডভোকেট ছিলেন। তিনি ‘দিওয়ানে ওয়াইসী’ গ্রন্থের সমস্ত গজল বাংলায় অনুবাদ করেন। কিন্তু তাঁহার হস্তাক্ষর ছিল খুব ছোট। এজন্য তাঁহার পুত্র ব্যারিষ্টার সাহেদ আলম হস্তাক্ষার উদ্ধার করতে না পারায় মাত্র ২৫টি গজল (১৭৯ গজল ও ২৩টি কাসিদা’র মধ্যে) সমন্বিত একটি গ্রন্থ ১৯৮৬ সালে হযরত সূফী ফতেহ্ আলী ওয়াইসী (রহঃ) শত বর্ষ উৎসবে প্রকাশ করেন। যেখানে হযরত ওয়াইসী (রহঃ) সম্পর্কিত তাঁহার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করেছেন। হযরত মাসদূর রহমান সাহেবের কন্যা তাপসী হুসনে আরা বর্তমানে তাঁহার সন্তান সন্ততিকে নিয়ে পুনাশীতে হযরত ওয়াইসী ক্বিবলা কা’বার তৈরী করা বাড়িতে বসবাস করছেন।

Additional information